রায়ে বলা হয়, সংবিধানই দেশের সর্বোচ্চ আইন। সংসদ সাবর্েভৗম কিন্তু সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্য কোনো আইন করতে পারে না।
রায়ে আরো বলা হয়, যৌথ বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু আইনকে লঙ্ঘন করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানের নামে যৌথবাহিনী আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে।
২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালিত হয়। ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে এই সংক্রান্ত দায়মুক্ত আইন পাস করে।
২০১২ সালের জুন মাসে দায়মুক্তি আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না । ঐ বছরের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট দায়মুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ঐ রুলের শুনানি আজ হাইকোর্ট এই রায় দেয়।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর