সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কৃষি অফিসার মাহফুজুর রহমান রাঙ্গাবালী উপজেলায় আসার পর থেকেই নানা ঘুষ, লাইসেন্স বানিজ্য, মিথ্যে মামলা করার হুমকিসহ নারী ক্যালেংকারির মতো জঘন্য অপরাধ করে কৃষক ও জনসাধারনের তোপের মধ্যে পরে। যার ফলে সার ও কীটনাষক বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন বলে জানান সার ও কীটনাষক বিক্রেতা মো. ইকবাল মাহমুদ।
তিনি আরো বলেন, কৃষি অফিসার আমার দোকানে তার ব্যবহারিত ব্যক্তিগত তালা লাগিয়ে আমাকে মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ আদায় করেন। অভিযোগ এখানেই শেষ না, কৃষি অফিসার, প্রতি বস্তা সারের জন্য বিভিন্ন কায়দায় সার ডিলারদের কাছ থেকেও নিয়েছে মোটা অংকের উৎকোচ ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য ঘুষ।
এছাড়াও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর সব দূর্নীতির খবর। বাংলাদেশ কৃষি সম্পপ্রসারন অধিদপ্তরের কৃষক ক্লাবের সরকারি অনুদানের সম্পদ আত্মস্বাত করেছেন চতুর এই কৃষি কর্মকর্তা। কৃষি অফিসার মাফুজুর রহমানের এসকল অনিয়ম ও দূর্নীতির খবর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্থানীয়, অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলে টনক নড়ে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের।
অবশেষে রবিবার পটুয়াখালী জেলা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম মাতুব্বরসহ ২ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। টিমের অপর সদস্য হলেন বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহীনুর রহমান।
তদন্ত টিমের সদস্য ও বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহীনুর রহমান জানান, অফিসারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই দূর্নীতিবাজ কৃষি অফিসারের সকল দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে।