অনেকেই অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শ উপেক্ষা করে উপাচার্য একক স্বেচ্চাচারিতায় এমন আয়োজন করে শহীদ দিবস ও শহীদ মিনারের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন।
উপাচার্যকে অনুস্মরণ করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন অন্যান্য সংগঠনগুলো। তবে ব্যতিক্রম ছিল কয়েকটি সংগঠন। এমন অব্যবস্থাপনার পরেও অপরিচ্ছন্ন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট ও উদীচি শিল্পী গোষ্টী।
জানতে চাইলে উদীচি শিল্পী গোষ্টীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ বলেন, এক ধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্তে¡ও আমরা শহীদ মিনারেই ফুল দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার এব্যপারে অবহিত করা হলেও উপাচার্য নিজ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে এমন আয়োজন করে আসছেন।
এব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, শহীদ দিবসে স্বাধীনতা স্মারকে ফুল দেয়ার বিষয়টি ভুল ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্মান প্রদর্শনের জন্য শহীদ মিনার প্রস্তুত না করায় আমরা বাধ্য হয়ে স্বাধীনতা স্মারকে ফুল দিয়েছি। তিনি এমন ভুলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, মহান শহীদ দিবসেও শহীদ মিনারকে পরিচ্ছন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শহীদ মিনারের বাম পাশেই অনেক বড় ঝোপের তৈরি হয়েছে। যা শহীদ মিনারের একটি অংশকে ঢেকে ফেলেছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক নিত্য ঘোষ ও সদস্য সচিব মো: শাহীনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে র্যালি শেষে আলোচনা সভায় এমন অব্যবস্থাপনার জন্য শিক্ষক তোপের মুখে পরেন উপাচার্য। জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নুর উন নবী।