ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাতে বন্দি জাপানি সাংবাদিক কেনজি গোতো’র নতুন ভিডিওকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। আইএস প্রকাশিত ওই ভিডিওতে গোতো’কে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার অ্যাবে বলেছেন, “ভিডিওটি জঘন্য। আমি প্রচণ্ড রাগ অনুভব করছি।” এর আগে জাপানি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের শুরুতে, গোতোর আশু মুক্তির বিষয়ক কাজে সহযোগীতার জন্য জাপান জর্দানকে অনুরোধ করেছে বলে ফের জানান অ্যাবে। ৪৭ বছর বয়সী গোতো একজন অভিজ্ঞ যুদ্ধ সাংবাদিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আইএস’র বলে কথিত ভিডিওটি’র নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানি কর্মকর্তারা ভিডিওটি সত্য বলে জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাপানি মন্ত্রিসভার মুখ্য সচিব ইয়োশিহিদে সুগা। জর্দানের রাষ্ট্রিয় টেলিভিশন সামরিক বাহিনীর একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ভিডিওটির নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। বুধবার ভোরে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা জানিয়েছেন, বন্দির আশু মুক্তি নিশ্চিত করতে টোকিও নিবিড়ভাবে জর্দানের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় জাপান ভিডিও’টির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। জর্দানি পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বাসাম আল-মানাসের আম্মানে ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গোতো ও জর্দানি বন্দি কাসায়েসবি’র নিরাপদ মুক্তির জন্য জর্দান আইএস’র সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরাকের ধর্মীয় ও উপজাতীয় নেতাদের মাধ্যমে দুপক্ষের যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। “শিগগিরই ভালো সংবাদ শোনার আশা করছি আমরা,” বলেছেন মানাসের। এর আগে সপ্তাহের শুরুতে হারুনা য়ুকাওয়া নামের অপর এক জাপানি বন্দিকে শিরশ্ছেদে হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা। বন্দিদের মুক্ত করতে জাপানের কাছে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ২০ কোটি ডলার দাবী করেছিল আইএস।