আদা চাষে স্বমলম্বী জীবননগর মিনাজপুর গ্রামের হযরত

এস এম মিঠূন, জীবননগর প্রতিনিধি :  চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামে অল্প খরচে অধিক লাভবান হলেন আদা চাষী হযরত আলী । আদা একটি বাংলাদেশের গুরুত্বপুর্ণ মশলা জাতীয় এটি বেশির ভাগ চাষ হয়ে থাকে বাংলাদেশের পাহাড়ী এলাকার উচু জমিতে বেশির ভাগ সিলেট , কক্সবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় এটি চাষ করেন চাকমা . গারো চাষীরা সেখান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয় হয়ে থাকে তাতে করে আমাদের এলাকায় আদা আনতে অনেক ব্যয় বহুল খরচ হয়ে থাকে বর্তমানে বাজারে আদার পাইকেরী মুল্য ১২০টাকা থেকে ১৩০টাকা আবার বাজারে খুচরা বিক্রয় হয়ে থাকে ১৫০থেকে ২শত টাকা দ্বরে আদা এমন একটি চাষ যা অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ার একটি চাষ ঠিক তেমনি প্রমান করে দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের দিনমুজরি চাষি হযরত আলী তিনার এ আদা চাষের খবর শুনে এলাকায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনার নিকট এ চাষ সম্বন্ধে প্রশিক্ষন নিতে আসছেন ।গতকাল সোমবার সরেজমিনে তিনার আদা চাষ জমিতে যেয়ে হযরত আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন । আমি এক সময় আমার অল্প জমিতে সল্পপুজি নিয়ে বাদাম , ধান . শরিষা সহ বিভিন্ন ধরনরে চাষ করতাম তাতে তেমন একটি লাভবান করতে পারতাম না হঠাৎ করে আমি আমাদের গ্রামে একদিন (বি আর ডি বি ) পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ও মুজিবনগর সমম্মিলিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারন কৃষকদের নিয়ে মশলা চাষ করনের একটি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন সেখান আমি ভর্তি হযে থাকি এবং সেখান থেকে আমি প্রশিক্ষন নিয়ে এবং আমার কিছু ছাগল , এবং হাসমুরগি বিক্রয় করা টাকা দিয়ে প্রথমে ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে থাকি এবং প্রশিক্ষন শেষে তিনারা আমার রংপুর জাতের আদার বীজ দেন আমি সেই বীজ দ্বারা আদা চাষ করি । এটিতে আমার চাষের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্থ খরচ খরচা বাদ দিয়ে এ বছরে দেড় লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে । এবং বর্তমানে আমার এ আদা আমাদের জেলার বিভিন্ন বাজার সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্রয় হচ্ছে । অবশেষে তিনি বলেন যদি সরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা পেতাম তা হলে আমি আর আদা চাষ করতাম এবং একদিন আমাদের এলাকয় আর অন্য এলাকা থেকে আদা আনা লাগতো না বরং অন্য এলাকার লোক আমাদের এলাকা থেকে আদা ক্রয় করে নিয়ে যেত ।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Comments (0)
Add Comment