২৬ ডিসেম্বর (সোমবার) আবৃত্তি দল স্বপ্নযাত্রীর আয়োজনে সন্ধ্যা ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো জয়যাত্রা অনুষ্ঠান। এতে সভাপত্বি করেন সভাপতি আলী প্রয়াস।
মুনমুন ভৌমিকের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কবি অধ্যাপক ফাউজুল কবির, কবি অধ্যাপক সেলিনা শেলী, কবি অধ্যাপক মুজিব রাহমান ও সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি, আবৃত্তিশিল্পী ফারুক তাহের। স্বাগত বক্তৃতা দেন উমেসিং মারমা ঊর্মি।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বিজয় বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদা, বীরত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে বৃহৎ সংগ্রামের ইতিহাস। কষ্টার্জিত এ বিজয় তাই আমাদের অস্তিত্ব, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। সেই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে প্রজন্মের সন্তানদেরকে শহিদের রক্তস্নানে পাওয়া দেশের ইতিহাসকে আত্মস্থ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আবৃত্তিদলগুলো অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে প্রজন্মান্তরে সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা শেষে স্বপ্নযাত্রীর নিয়মিত প্রযোজনা ‘জয়যাত্রা’, ইনান ইলহামের নির্দেশনায় বিশেষ প্রযোজনা ‘অগ্নিযুগের বীরত্বগাথা ও বিপ্লবের চিৎকার’ ও উমেসিং মারমার নির্দেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি ‘সেই গল্প বাংলাদেশের’ পরিবেশিত হয়। এছাড়াও একক আবৃত্তি করেন অবৃত্তিশিল্পী ফারজানা রুমা, সূচনা দাশ, নাজিম উদ্দীন ও দ্বৈত আবৃত্তি করেন শুভ বড়ুয়া-রাহিয়াতুল জান্নাত প্রভা এবং অপূর্বা চৌধুরী-ঋতুরাজ চৌধুরী।
প্রযোজনায় অংশগ্রহণে-সাআদ উদ্দিন মাহ্দী, স্নিগ্ধা বড়ুয়া, ঋতুরাজ চৌধুরী, ফারজামা রুমা, ইনান ইলহাম, রাহিয়াতুল জান্নাত প্রভা, উমেসিং মারমা, শুভ বড়ুয়া, অপূর্বা চৌধুরী, সুজা উদ্দিন, সূচনা দাশ, স্নিগ্ধা বড়ুয়া।
শহিদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বপ্নযাত্রী পরিচালিত ২মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মলাশার ৪র্থ আবর্তনের ৩০জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ প্রদান করা হয়।