তিনি আরো বলেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইনশাআল্লাহ আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। যতই কলাকৌশল করা হোক না কেন। নিম্ন আদালত, নিম্ন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বেঞ্চ ক্লার্করা, কেরানিরা, স্টাফরা-এরা তো সব সরকারের কর্মচারী। সুতরাং আমরা আইনি লড়াই করব, আমাদের আবার রাজপথেও থাকতে হবে। শুধু আইনি লড়াই দিয়ে এই যুদ্ধে জয়লাভ করার সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না। রাজপথে আন্দোলন ব্যাতিরেকে শুধু আইনি লড়াইয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভব নয়।
সংগঠনের সহ-সভাপতি আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আবু জাফর, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
মওদুদ আহমদ বলেন, মাজদার হোসেন মামলার মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট গত ৮/১০ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। কিন্তু এসকে সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি) চলে যাওয়ার পরে নিম্ন আদালতের শৃঙ্খলা বিধির গ্যাজেট হয়ে যাওয়ার পরে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের কোনো কার্যকারিতা থাকলো না। কারণ নিম্ন আদালত এখন সরকারের অধীনে চলে গেছে। তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে কিভাবে?
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখন কোনও সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি মনে করি, সেই ’৭৫ সালে সাংবিধানিক একদলীয় শাসনের চাইতে বর্তমানে যে একদলীয় শাসন চলছে সেটা আরও অনেক নিম্নমানের, নিচুস্তরের, অমানবিক। ইংরেজীতে বলে ইললেবারেল এবং ইনটলারেন্ট একটা সংস্কৃতি ও সমাজ আমরা ডেভেলপ করেছি। এর চাইতে নেতিবাচক দৃশ্য আমাদের সামনে আসে না।