বৃহস্পতিবার ১৮ মে দুপুরে নিহত কোরবান আলীর হত্যা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম আকবরশাহ থানাধীন ফিরোজ শাহ এলাকায় হত্যাকান্ডের স্পট ও নির্মানাধীন জাতীয় গৃহায়ণ বিল্ডিং এ কিশোর গ্যাংদের ভিআইপি রুম ও মাদকের আস্তানা পরিদর্শন করেন। এই সময় তিনি কিছু মাদকের আলামত দেখতে পান এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ক্লু’ খুঁজে বের করতে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর ও পশ্চিম ডিবি পুলিশের এডিসি শামীম কবির ও মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এস আই রাজিব হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির ডিসি মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন,এই কিশোর গ্যাং কতৃক হত্যা কান্ড দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছে,আসামীদের ধরার জন্য রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে তবে খুব দ্রুত আসমীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবোএবং এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের সকলের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে ৫ এ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে ছেলে কে বাচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংদের হাতে নির্মম ভাবে জীবন দিতে হয় নিহত কোরবান আলী কে।
জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে কয়েকজন স্কুলছাত্রকে মারধর করতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ডেকে আনার ঘটনায় কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজার সঙ্গে বিরোধ হয় এলাকার উঠতি বয়সী কিছু তরুণের। মূলত সেই বিরোধের জের ধরে
সেদিন সন্ধ্যায় ইফতারি কিনতে বাসা থেকে বের হন আলী রেজা। তখন তাকে একা পেয়ে মারধর করতে থাকেন কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ছেলের ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বাবা।
একপর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ইট দিয়ে কোরবান আলীর মাথায় আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রথমে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আইসিইউতে কোরবান আলীর মৃত্যু হয়।