গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকালে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অভিযানে আমরা দীর্ঘদিন ধরে নব্য জেএমবির যে নেতাকে খুজঁছিলাম, তিনি নিহত হয়েছেন। তবে অপর জনের নাম এখনো জানা যায়নি।’
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, রায়েরবাজার বধ্যভূমি প্রবেশের মুখে একটি বট গাছের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূ জানান, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ পরপর দুইটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এরপর থেমে থেমে গুলির শব্দ। পুলিশের ৪/৫টি গাড়িতে করে প্রায় ৩-৪০জন পুলিশ সদস্য এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পরে জানা যায় যে, সেখানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন মারা গেছেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে চার টার দিকে গুলিবিদ্ধ দুইটি লাশ পুলিশ মর্গে রেখে যায়।
উল্লেখ্য, হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তামিম আহমেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম, মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম মারজানের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হতে থাকে। এদের মধ্যে তামিম আহমেদ চৌধুরী গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইক পাড়ায় ও রূপনগরে মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম পুলিশের জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিহত হন। সেপ্টেম্বরে রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সহ-সভাপতি তানভীর কাদরী নিহত হন। ওই অভিযানে তানভীর কাদরী স্ত্রী ও ১৪ বছরের এক সন্তান, আফরিন আক্তার প্রিয়তী ওরফে ফাতেমা ফেরদৌসকে পুলিশ আটক করে। এরপর থেকেই পুলিশ মারজানকে খুঁজছিল।
পুলিশ আরো জানায়, হলি আর্টিজান হামলার আগে থেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মারজান। এরপর মারজান বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।
আজ ভোরের এই অভিযানে মারজান নিহত হওয়ার পর সেখান থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।