ইমামতি করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামাত শুরু হয় সকাল ৯ টায়।
ঈদুল আজহায় জঙ্গি হামলার প্রভাব না পড়লেও এবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। গত রাত থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় কিশোরগঞ্জে। টানা বৃষ্টি এখনো অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক মুসল্লি ঈদগাহে আসতে পারেননি। তাছাড়া প্রায় সব মসজিদে ৯টার আগেই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বৃষ্টি ও কোরবাণীর কারণে মুসল্লিরা মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করেন। দূরের মুসল্লিদের কেউ কেউ ঈদের আগের দিন চলে আসেন। বড় মাঠে নামাজ আদায় করতে পেরে তারা আনন্দিত। তবে ঈদগাহের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এটাই ছোট জামাত বলে মন্তব্য করেছেন আগত মুসল্লিদের অনেকেই।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদ জামাত আয়োজনের প্রস্তুতির পাশাপাশি ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়। র্যাব-পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন করা হয় বিজিবি। বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাসি করে মাঠে প্রবেশ করানো হয়।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এবার মুসল্লি কম হয়েছে। এরপরও নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না।