চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ক্যারিবিয়ান বোলারদের সাথে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের চমৎকার লড়াই হয়েছে। কাউকেই খুব বড় রান করতে দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। আবার রানের গতিও পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনি। দুজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ফিফটি করেছেন। ফিফটির কাছাকাছি ইনিংস খেলেছেন তিনজন। তাতেই ভালো সংগ্রহ পেয়েছে ইংল্যান্ড।
আগের ম্যাচে রেকর্ড তিন শতাধিক রানের জুটি গড়েছিলেন ডেন লরেন্স ও জ্যাক বার্নহ্যাম। ৪৩ রানে প্রথম উইকেট পড়েছে ইংল্যান্ডের। এদিন অবশ্য লরেন্স ও বার্নহ্যাম ৪১ রানের জুটি গড়েছেন। ওপেনার লরেন্স ৫৫ রান করে আগে আউট হয়েছেন। ৪৪ রান করে তার পর বিদায় নিয়েছেন বার্নহ্যাম। কালাম টেলরের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ রান। জর্জ বার্টলেট ৪৮ ও স্যাম কুরান ৩৯ রান করেছেন।
জবাবে, প্রথম ওভারেই স্যাম কুরানের আঘাতে দুই উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে অবশ্য ঘুরেও দাঁড়ায় তারা। ওপেনার গার্ডন পোপ ও কিসি কার্টি ৮২ রানের জুটি গড়েছেন। এই দুই ব্যাটসম্যানকে পরপর দুই ওভারে তুলে নিয়ে আবার ধাক্কা দেন অনিয়মিত বোলার লরেন্স। পোপ ৬০ ও কার্টি ২২ রান করেছেন। এই পর্যায়ে ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারানো দল হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
ইনিংস মেরামত করে জয়ের স্বপ্ন ধরে রাখার কাজ করেন জিড গুলি ও কিমো পল। ষষ্ঠ উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষের গল্পটা কেবলই পেসার সাকিব মাহমুদের। গুলিকে ২৭ ও কিমোকে ৬৫ রানে বিদায় করেছেন তিনি। আগের ম্যাচেও উজ্জ্বল এই বোলার শেষ ৫ উইকেটের ৪টি শিকার করেছেন। ২৮ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। টানা দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন লরেন্স।
কক্সবাজারের শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল স্কটল্যান্ড। কিন্তু নামিবিয়ার বোলারদের আঘাতে ৩৬.৩ ওভারে ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ওয়াইস শাহ ৩৯ ও হারিস আসলাম ৩১ রান করেন। মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ওয়ারেন ভ্যান উইক, লফটি ইটন ও চার্ল ব্রিটস।
খুব দ্রুত রান তুলতে শুরু করে নামিবিয়া। তাদের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৯৫ রান। ১৬তম ওভারে ওপেনার নিকো ডাভিন ব্যক্তিগত ৫২ রানে আউট হয়েছেন। আর উইকেট পড়েনি তাদের। ইটন ৬৭ ও জেন গ্রিন ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফিরেছেন। অল রাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইটন।