ইবিতে চাকরির দাবীতে আবারও পরিবহন অবরোধ; ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ইবি সংবাদদাতা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বহিরাগত চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরির দাবীতে আবারও পরিবহন অবরোধে চরম ভোগান্তিতে ১৪ হাজার শিক্ষাথী। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা লাগিয়ে চাকরির দাবীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনা নেয়ার পরিবহন আটকে দেয় চাকরি প্রত্যাশীরা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বাস না ছাড়ায় লাইনের বাসে ও পিকআপ ভ্যানে বাদুর ঝোলা করে যায় শিক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিনিয়ত আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবহন অবরোধ করে আমাদের কষ্ট দিচ্ছে এই চাকরি প্রত্যাশীরা। প্রচন্ড রোদ আর ভেপসা গরমের সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা শেষে ২২/২৪ কিলোমিটার দুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের বিভিন্ন মেসে ও বাসায় যাবার জন্য যখনই ক্যাম্পাস থেকে বের হই তখনি চাকরি প্রত্যাশীদের পরিবহন অবরোধ, মেইন গেটে তালা লাগিয়ে আমাদের গাড়ী গুলো আটকে দেয়।

এতে দুপুর বেলা ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত শরীরে বাধ্য হয়ে বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অবহেলা আর ব্যর্থতাই আমাদের এই ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা এর একটি সমাধান চাই।

প্রশাসন থেকে জানা গেছে, আগামীকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি জরুরী সিন্ডিকেট মিটিং হওয়ার কথা জানতে পারে চাকরি প্রত্যাশীরা। আর এই সিন্ডিকেটে তাদের চাকরি নিশ্চিত করার জন্য আজ দুপুর ২টার বহিরাগত চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগের নেতা রাসেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ১০/১২জন বহিরাগত চাকরি প্রত্যাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অবরোধ করে রাখে।

এতে ক্যাম্পাসের বাস গুলো না ছাড়ায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে পাবলিক বাস ও পিকআপ ভ্যানে করে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাদুড় ঝোলা করে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ রাখার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের আশ্বস্থ করলে এ অবরোধ তুলে নেয় তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

চাকরি পত্যাশীদের দাবী, আমাদের চাকরি না দিয়ে কোন সিন্ডিকেট ও প্রশাসনিক কোন কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন- “আমরা স্পষ্টভাবে বারবার চাকরি প্রত্যাশীদের বলছি ইউজিসি থেকে এখন কোন ভাবেই কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অনুমতি নেই। তার পরেও কেন যে তারা এই কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। আমরা খুব দ্রুত সিন্ডিকেট আহব্বান করে বিষয়টির দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান করবো।”

Comments (0)
Add Comment