উপজেলার ঢেপসাবুনিয়ার প্রবীন জেলে আব্দুল বারেক ডাক্তার বলেন, এ বছরের মতন ঐ মৌসুমে জেলেরা জালে মাছ না পাওয়ার নজীর বিহীন।
সরজমিনে গেলে জিয়ানগরের পাড়েরহাট, বালিপাড়া, ঘোষেরহাট, পত্তাশী ও কালিবাড়ী বাজারে দেখা যায় সামান্য কয়েকটি ইলিশ মাছ ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। আবার অনেক জায়গায় দেখা যায় নদী ও খালের ভিতরে সারি সারি ভাবে শত শত নৌকা ও ট্রলার বাঁধা।
একাধিক মাঝিরা জানায়, এবছরে কোন ইলিশ মাছ চোখেই পড়েনা। আমরা হাজার হাজার টাকা বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে এনে ট্রলার নিয়ে সাগরে নেমেছিলাম । কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রত্যেক খ্যাপে আমাদের প্রায় অনেক টাকা লস। এই টাকা কিভাবে কাটিয়ে উঠব সেই চিন্তায় চোখে ঘুম নেই। আবার যদিও মাছ হয় বিভিন্ন ডাকাতের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে যাই। ডাকাতে শ্লিপ নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে হয় যদি শ্লিপ না থাকে তা না হলে আমাদের মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে পাড়েরহাট মৎস বন্দরে জেলেদের কোন সমাগম নেই। বেকার শ্রমিকরা বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
এদিকে ইলিশ মাছ আমদানি না থাকায় মৎস পাড়াগুলো জনমানব শুন্য। উপজেলার পাড়েরহাট, বালিপাড়া ও জিয়ানগরে মৎস বাজার মাছের জন্য হাহাকার করছে। কোন ক্রেতাই ইলিশ মাছ কিনতে পারছেনা যদিও ২/১ টি পাওয়া গেলেও তা বেশি দামে কিনতে হয়।
পাড়েরহাট মৎস আড়ৎদার বাবুল সহ অনেকেই জানায়, জেলেদের নৌকা ও ট্রলার প্রতি লক্ষ লক্ষ টাকা দাদন দিয়েও মাছ দিতে পারছে না। নদীতে মাছ না থাকায় জেলেরা ২/৩ মাস পরেও বাড়ীতে আসতে পারছেনা দেনার কারনে। এ বছর ভরা মৌসুমে জেলেদের খুবই দুর্দিন পোহাতে হচ্ছে ।