ইসরাইলকে সতর্ক করে দিয়ে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, অবশ্যই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্ত মানতে হবে অন্যথায় দখলদার তেল আবিব সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ মোকাবেলা করতে হবে। মিশরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনারত হামাসের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান উসামা হামদান তার ফেইসবুক পেইজে এ সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইল এ পর্যন্ত যে প্রস্তাব দিয়েছে তা ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে না। হামাস সাফ জানিয়েছে, তারা দুর্বল অবস্থানে থেকে নয় বরং শক্ত অবস্থানে থেকেই আলোচনা করছে। হামাস দাবি করছে- গাজা উপত্যকার ওপর থেকে সাত বছরের অবরোধ সম্পূর্ণভাবে তুলে নিতে হবে এবং সেখানকার জনগণের চলাচলের ওপর কোনো রকমের বিধি-নিষেধ থাকতে পারবে না। এছাড়া, গাজায় সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর চালু করার অধিকার দিতে হবে। হামাসের শীর্ষ নেতা খালেদ মাশআল ও ইসমাইল হানিয়া কয়েকবার এসব দাবির কথা স্পষ্ট করে বলেছেন। এর বিপরীতে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি তুলেছে। তবে, হামাসের কোন কোন দাবি ইসরাইল মানতে চায় অথবা তাদের পক্ষ থেকে কি ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা এখানো জানা যায় নি। মিশর সরকারের মধ্যস্থতায় কায়রোয় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে এবং আলোচনার বিষয়বস্তু যথেষ্ট গোপন রাখা হচ্ছে। এদিকে, ফাতাহ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-আকসা ব্রিগেডের যোদ্ধারাও মনে করছেন, অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি যথার্থ এবং ইসরাইলকে এ দাবি মানতে বাধ্য করতে পারবে হামাস। ফাতাহ আন্দোলন যদিও হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী তবু যুদ্ধের সময় সব প্রতিরোধ আন্দোলন এক হয়ে কাজ করে। এবারের যুদ্ধেও ফাতাহ আন্দোলনের যোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন তাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য।