প্রত্যক্ষদর্শী একজন নারী জানান সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বস্তিবাসীদের অভিযোগ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। গতকাল উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে আজ আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। ৫০ একর জায়গাতে এই বস্তি গড়ে উঠে প্রায় ২৫ বছর আগে। এটি অনেকের কাছে ‘কল্যানপুর পোড়া বস্তি’ নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় এই বস্তিতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ থাকেন। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ এসেছেন উপকূলীয় জেলা ভোলা থেকে।
গতকাল কর্তৃপক্ষ বস্তি উচ্ছেদ গেলে পুলিশের সাথে বস্তিবাসীদের সংঘর্ষ হয়। একটি মানবাধিকার সংস্থার রীটরে আবেদনের প্রেক্ষাপটে বস্তি উচ্ছেদের উপর হাইকোর্ট তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু সেই আদেশের কপি কর্মকর্তাদের হাতে পৌছাঁনোর আগেই প্রায় ৩০ শতাংশের মতো ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের পর উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে ফিরে যায় কর্তৃপক্ষ। শত শত বস্তিবাসি গতরাতে খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটিয়েছেন।
একজন বস্তিাবাসি কবির হোসেন বলেন, “ এখন সরকার আমাগো গুলি করি মারি ফালাক। আমাগো খাড়ানোর কোন জায়গা নাই।”
হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বস্তিতে কারা আগুন দিয়েছে, সে সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না।
তিনি বলেন, তারা আইন-আদালত মেনেই বস্তি উচ্ছেদ করতে চান। বস্তি উচ্ছেদের পর এই জমি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার কাজেই ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। বিবিসি বাংলা।