অবরোধের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চালিয়ে নিতে পারলেও পরিবহন সেক্টরে সমস্যা কাটেনি বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত কাল সচিবালয়ে দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর দরপত্র আহ্বান উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, “মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। সিনো-হাইড্রোর তিনটি গাড়ি হামলার মধ্যে পড়েছে। আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি।” নাশকতা করতে বেশি লোক লাগে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “পরিবহন সেক্টরে ‘উই আর ইন ট্রাবল’। পাঁচ শতাধিক গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১০/১২টি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাতজন ড্রাইভার-হেলপার নিহত হয়েছেন।” তিনি অভিযোগ করেন, ‘অন্ধ মায়ের সন্তান হেল্পার সোহাগকেও মেরে ফেলেছে অবরোধকারীরা।’ এ অবস্থায় মালিক-শ্রমিকরা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও তারা এখন পর্যন্ত গাড়ি চালাতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের যাতায়াত ও সবজি পরিবহনে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। জনগণের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আমি দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করাবো। এটা আমার প্রতিজ্ঞা। যে কোনো অবস্থায় কাজ চালিয়ে যাবো। মেট্রোরেল-পদ্মাসেতুর কাজ কেউ বাধা দিতে পারবে না। কারণ, এগুলো জনগণ চায়।” পরীক্ষাও অবরোধের বাইরে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এর প্রভাব অনেক দিন ধরে চলবে। ছাত্রছাত্রী-অভিভাবকেরাও আতঙ্কগ্রস্ত। ইডেন কলেজ ছাত্রীকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আলোচনা বা করণীয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আর কোনো কথা থাকে না। সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবাল, তিন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক সাইদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।