আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এরপরে আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হবে।
ফল জানা যাবে যেভাবে
এইচএসসি’র ফল নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে, এমনকী মোবাইল ফোনেও জানা যাবে।
মোবাইল ফোনে ফল পেতে মেসেজ অপশনে ‘HSC’ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন বর্ণ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
আলিমের ফল পেতে ‘Alim’ লিখে স্পেস দিয়ে ‘Mad’ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল পেতে ‘HSC’ লিখে স্পেস দিয়ে tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এবাদেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইলে ফল জানানো হবে।
ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা যাবে যেভাবে
ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা তাদের ফল পুনর্নিরীক্ষা করতে পারবেন।টেলিটক মোবাইল থেকে আগামী ১৯-২৫ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন বর্ণ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে, তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-PIN ) দেওয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে ‘RSC’ লিখে স্পেস দিয়ে ‘YES’ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে।
একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ (,) দিয়ে লিখতে হবে।
প্রসঙ্গত, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ২২ জুন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণার কথা। সেই নিয়ম রক্ষার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এবার পরীক্ষায় আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে মোট ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন।