এবার সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ রউফ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এইচএস সি ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

মো. রেজাউল করিম তুহিন, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে অবস্থিত সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজের অধ্যক্ষ এমডি মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে এইচ এস সি ফরম পূরণে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ শিক্ষা বর্ষে এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরমপূরণ, কোচিং এবং টেস্টে প্রতি ফেল বিষয়ে ৫০০ টাকাসহ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া একাদশ শ্রেণির প্রতি মাসে ক্লাশ টেস্ট পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির এইচ এসসি পরীক্ষার্থী শিপন, মেহেদী, উন্নতি মিত্র, সারমিন আক্তার, অন্তু বিশ্বাস, তাজ সোহেল ডিগ্রি শাখার নাছির অভিযোগ করেন কলেজ অধ্যক্ষ স্যার ফরম পূরণে কোচিং বাবদ, ফেল বিয়রে জড়িমানসহ অতিরিক্ত ফি বাবদ ৩৪৬০ টাকা থেকে ৪৫০০টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। কিন্তু কলেজে কোন কোচিং করা হয়নি। এ ছাড়া একাদশ শ্রেণির সাহিন, সাহিদ মৃধা, খায়রুল ইসলাম, মতিন, রায়হান, ইমামুল ও আল আমিন জানায়, অধ্যক্ষ স্যার একাদশ শ্রেণির প্রতি মাসিক পরীক্ষার নামে ১৫০ টাকা করে ফি আদায় করেন। না দিলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি এবং টিসি দেওয়ারও ভয় দেখায় এতে মফস্বল এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
্এ ব্যাপারে সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজের অধ্যক্ষ এমডি মাহাবুব আলম জানান, এ সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। কলেজের একটি শিক্ষক গ্রুপ আমিনুল ইসলামরা চাই না কলেজে কোন ক্লাশ নিতে। টেস্ট পরীক্ষায় মাত্র কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে বাকী সব ফেল করেছে। স্যাররা কি পড়ান যে শিক্ষার্থীরা ফেল করে। কলেজে সরকারি ফির বাইরে বা কোচিং ফির কোন টাকা নেওয়া হয়নি, কোন কোচিংও কলেজে হয়নি। শুধু মাত্র অতিরিক্ত ক্লাশের জন্য ফেল করা বিষয়ে জড়িমানা হিসেবে প্রতি বিষয়ে ৫০০ করে টাকা নেওয়া হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এক‘শ মার্কের জন্য প্রতি বিষয়ে ৪০ টাকা করে নেওয়ার বিধান রয়েছে। আমাকে দিয়ে এলাকার নেতারা জোড় করে ফেল করা ছাত্রদের ফরম পূরণ করিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন।
এদিকে উপজেলার অপর সরকারি কলেজে যোগাযোগ করে জানা যায়, এইচ এস সি ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত বোর্ড ফিসহ বিজ্ঞাণ শাখায় ২২৯০টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসা শাখায় ১৮৭০ টাকা করে নেওয়া হয়। একই উপজেলায় ফরম পুরণে দু‘রকম টাকা নেওয়ায় বিষয়টি জসমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অতিরিক্ত ফি আদায়ের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবী জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

Comments (0)
Add Comment