এমনই প্রত্যাশা ভ্যান গালেই পার্সির আস্থা


স্পোর্টস ডেস্ক:
নতুন কোচ লুইস ভ্যান গালের অধীনে অচিরেই পুর্বের চেহারায় ফিরে আসবে বিপর্যস্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রবিন ভ্যান পার্সি। হতাশাজনক পারফর্মেন্স দিয়েই গত সপ্তাহে প্রিমিয়ল লীগ মিশণ শুরু করেছে ভ্যান গালের নতুন ক্লাবটি। তবে তাকে এর চেয়েও বেশি বিব্রত করেছে সপ্তাহের শেষভাগে লীগ কাপের ম্যাচটি। কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে তৃতীয় বিভাগের ক্লাব মিলটন কেইনেস (এমকে) ডনস এর কাছে তারা ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এর আগে প্রিমিয়র লীগে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে সোয়ানসি সিটির কাছে পরাজিত হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ১-১ গোলে ড্র করে সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে। তবে ইংলিশ ফুটবলের রেকর্ড পরিমান ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে দলভুক্ত করে ইউনাইড এখন কিছুটা উজ্জীবিত। আর তাই বাজেভাবে মৌসুম শুরু করার পরও দলের ভাল ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ আÍবিশ্বাসী ডাচ স্ট্রাইকার পার্সি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের ওপর সবার বিশ্বাস এবং আস্থা রয়েছে। আমাদের দারুণ সব খেলোয়াড় রয়েছে। এখন ভাল একটি সূচনা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদিও প্রথম দু’টি ম্যাচ থেকে পুরো ছয় পয়েন্ট অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও আমরা একটি মাত্র পয়েন্ট পেয়েছি। সুতরাং আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমি দুই বছর ধরেই লুইস ভ্যান গালের সঙ্গে কাজ করছি। তিনি প্রতিদিনই প্রতিটি খেলোয়াড়কে জানিয়ে দেন তিনি কি চান।’ এসময়ি তিনি আরও বলেন, ‘তাই চাহিদা পূরণের জন্য আমি এবং আমরা সবাই একে অন্যের সহযোগিতা করছি। সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে আমরা দু’টি মুল্যবান পয়েন্ট হাতছাড়া করেছি। কিন্তু ম্যাচের ১৫ মিনিট বা এর পরের পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করলে দেখবেন আসলেই আমরা পয়েন্ট নষ্ট করেছি। অবশ্য এটিও ঠিক যে আমারা অবস্থানগত দিক থেকে কিছুটা বিশৃঙ্খল ছিলাম। যে কারণে আমরা নিজেরাই ম্যাচটিকে কঠিন বানিয়ে ফেলেছি।’ বিশ্বকাপ মিশনের পর বিশ্রাম শেষে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে প্রথমবারের মত একাদশে যোগ দিয়েছিলেন পার্সি। ক্রমেই নিজের দক্ষতা ফিরে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই ডাচ তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি ফিটনেস ও সুস্থতা অনুভব করছি। কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমি ভালভাবে অনুশীলন করছি এবং আজ পুরো একঘন্টা ধরে ফুটবল খেলেছি। এখন বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য অপেক্ষা করছি।’ এদিকে বার্নলির কোচ সেন ডাইচ দলবদলের বাজারে তাকে বেশ ধুকতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এক ডি মারিয়াকে দলে ভেড়ানোর জন্য ইউনাইটেড যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তার গোটা দলের ইতিহাসে সে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়নি। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এই পর্যন্ত ক্লাবটি খেলোয়াড়দের দলবদল বাবত ব্যয় করেছে আনুমানিক ৪৫ মিলিয়ন ইউরো। অতচ শুধুমাত্র ডি মারিয়ার মত একজন খেলোয়াড়ের জন্য ইউনাইটেড ব্যয় করেছে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরো। ডাইচ বলেন, আমার এরকম কিছু অংককে আজগুবি মনে হয়। এটি কঠিন একটি বাজার। মাঝেমধ্যে এই ঘটনাগুরো আমাকে বিস্মিত করে। যাহোক, এসব থেকেই তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্যের বাস্তব চিত্রটা বুঝা যায়। আমার মনে হয় সবাই অনুভব করতে পেরেছেন যে, তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান কতখানি। গত মৌসুমে আমরা দলবদলের বাজারে গিয়েছিলাম। কিছু অর্থও সংগ্রহ করেছি। কিন্তু আসলে কিছুই করতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে ক্লাবগুরোর মধ্যে কিছুটা ভারসাম্য আনা দরকার।’

Comments (0)
Add Comment