পরে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা ও অন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের ৪ পরিদর্শক চন্দন, মন্ত্রী স্কুলের মাহাবুব, ইউনুস, ও কাজের দির্ঘীরপাড়া স্কুলের পারভেজকে পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি করা হয়েছে। দ্রæত তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তা কেন্দ্রের সচিব ও হল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কয়েকজন পরীক্ষার্থীসহ অনেক অভিভাবক জানান, সোমবার সকাল ১০ টায় বাংলা-১ম পত্রের নৈবিক্তিক পরীক্ষা ১৫ মিনিট পর রচনামূলক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের নিকট সরবরাহ করা হয়। প্রশ্নপত্র কোন কারনে যত মিনিট পরে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে ঠিক তত মিনিট পরেই উত্তরপত্র নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা না করে ওই কক্ষের দায়িত্বরত এলএম, মিরগঞ্জ, চরপাতা ও কাজিরদিঘীর পাড়ের পরিদর্শক অতিরিক্ত সময় না দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরপত্র নিয়ে যান। এতে পরীক্ষার্থী ছিদ্রাতুন বিন মুনতাহা এলমি, সেবিকা পাল, একা মজুমদার, রিসালাত জাহান মিম, তানজিনা সুলতানা, মেহেরুন নেছা, আলিফ, শান্তা, সিহাবসহ ৩৫ জন পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের মধ্যে পাঁচজন জ্ঞান হারালে। পরে অভিভাবকরা এলমি ও সেবিকাকে রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সরকারি হাসপাতে ভর্তি করা হয়। এতে অভিভাবকরা উত্তোজিত হয়ে হট্টগোল চালালে তাৎক্ষণিক ওই চার পরিদর্শককে অব্যাহত করে এবং দ্রæত তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের সচিব ও হল সুপারকে নির্দেশ দেন ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব আবুল কালাম ও হল সুপার আলমগীর হোসেনে বলেন, ওই কক্ষের চার পরিদর্শকরা বেলের শব্দ না শুনায় কিছুটা দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত সময় দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিলো কিন্তু পরিদর্শক এটা না বুঝে উল্টো নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরপত্র নিয়ে যান। এতে ওই কক্ষের ছাত্র-ছাত্রীর হট্টগোল শুরু করে। পরে অভিভাবকরাও এসে জড় হয়। পরে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা ও অন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েই অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে এবং ক্ষব্ধ অভিভাবকদের শান্তনা দেওয়া হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম ও শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হল সচিব ও সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।