সাবধান! এ্যান্ড্রয়েড ফোনে “আড়ি পাতছে’ গুগল

প্রযুক্তি ডেস্ক: জানেন কি, এ যাবত  এ্যান্ড্রয়েড ফোনে যা যা কথা বলেছেন তার সবই রেকর্ড করে রেখেছে গুগল? ইচ্ছে হলে সেই সমস্ত কথা ফের শুনতে পারেন। তবে চাইলে সেই কথোপকথন মুছে দেওয়ায়ও সম্ভব।
গুগলের গুদামে রয়েছে পৃথিবীময় মুঠোফোন কথোপকথনের বিশাল ঝাঁপি। গোড়া থেকেই  এ্যান্ড্রয়েড ফোনের কথোপকথন গ্রাহকের অজ্ঞাতসারে রেকর্ড করছে গুগল। আসলে ভয়েস সার্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই গ্রাহকের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করা হয়। সংরক্ষিত কণ্ঠস্বরের সঙ্গে গ্রাহকের বর্তমান কণ্ঠস্বর মিলিয়ে সার্চ করে গুগল। এই প্রযুক্তিতে যেমন আপনার পুরনো কথাবার্তার নথি সংরক্ষিত হচ্ছে, তেমনই খুব সহজেই তা মুছে ফেলা সম্ভব। একটি বিশেষ পেজ-এর মাধ্যমে কণ্ঠস্বর সংক্রান্ত পুরনো নথি ডিলিট করা যায়।
এই কাজ করতে গেলে আপনাকে ঢুকতে হবে হিস্ট্রি পেজে। সেখানে ভয়েস রেকর্ডিংয়ের দীর্ঘ তালিকা দেখতে পাবেন। মনে রাখা জরুরি, গুগলের ওয়েব অ্যাক্টিভিটি এবং অডিও-র জন্য পৃথক হিস্ট্রি পেজ রয়েছে। ইন্টারনেটে আপনার উপস্থিতি সম্পর্কিত যাবতীয় নথি রয়েছে সেখানে।
২০১৫ সালে গুগলের নয়া পোর্টালটি গত এক বছর যাবত অ্যাক্টিভ রয়েছে। অর্থাত্‍, এই এক বছরে গ্রাহকের সমস্ত ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি তাতে সংরক্ষিত রয়েছে। এতে রয়েছে চূড়ান্ত গোপনীয় কথোপকথনের রেকর্ডিংও। এই অডিও ডায়ারির পাতা ওল্টালে বহু পুরনো কথা, ঘটনা ও পরিস্থিতি ফিরে দেখা সম্ভব। আবার এ-ও বোঝা সম্ভব, এই এক বছরে গ্রাহকের সম্পর্কে কী পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করেছে গুগল।
ব্যাপারটি আরও ভালো বোঝা যায়  এ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে। ‘ওকে গুগল’ বললেই এই ফোন চালু হয়ে যায়। শুধু ফোনই নয়,  এ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তির যে কোনও ডিভাইস মারফত গুগলে যা যা অ্যক্টিভিটি করা হয়েছে, তার সবই পুনরুদ্ধারযোগ্য।
গুগলের কাছে সংরক্ষিত যাবতীয় কথোপকথন মুছে ফেলতে হলে অডিও হিস্ট্রি পেজে ঢুকতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট রেকর্ডিং বা সম্পূর্ণ রেকর্ডিং তালিকা মুছে ফেলতে চাইলে তা আগে সিলেক্ট করে ডিলিট করতে হবে। বিশেষ একটি বা একাধিক ফাইল মুছতে গেলে প্রথমে ফাইল তালিকার বাঁ-দিকের চেক বক্সে ক্লিক করতে হবে। তারপর পেজের একদম ওপরে উঠে ডিলিট বোতাম ক্লিক করতে হবে। সব তথ্য মুছে ফেলতে চাইলে ‘মোর’ বোতামটি টিপে ডিলিট অপশন বাছতে হবে। এরপর ‘অ্যাডভান্সড’ বোতাম ক্লিক করলেই পাতায় থাকা সব তথ্য মুছে যাবে।
তবে গুগলের রেকর্ডিং গোড়াতেই থামাতে চাইলে ‘ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ অপশন টার্ন অফ করতে হবে এবং ভয়েস সার্চ ব্যবহার করা চলবে না। যদিও তাতে  এ্যান্ড্রয়েড ফোনের কিছু ফিচার আর কার্যকরী থাকবে না। এখন সিদ্ধান্ত আপনার।

Comments (0)
Add Comment