তিন হামলাকারীর চাপাতির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওয়াশিকুর। পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে দুই মাদ্রাসাছাত্র, যাদের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ আটক দুইজনসহ মোট চারজনকে আসামি করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “জনতার হাতে আটক জিকরুল্লাহ ও আরিফুল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা নিজেরা ব্লগ বা ফেইসবুক সম্পর্কে কিছু জানে না। ধর্মীয় মতাদর্শগত বিরোধের জের ধরে নির্দেশিত হয়ে তারা এই হত্যায় অংশ নিয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে এটা তাদের ঈমানি দায়িত্ব।”
মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড শুনানিতে গ্রেপ্তার দুই আসামি বলেন, মাসুম নামে একজনের নির্দেশে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তাদের সঙ্গে আবু তাহের নামে আরেকজন ওই হামলায় অংশ নেয়।
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল জানান, গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজন এর আগে নরসিংদীতে জেএমবি কর্মী হিসাবে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। ওই দুইজনকে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানও চালিয়েছেন।
এদের মধ্যে জিকরুল্লাহ নিজেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসার ছাত্র বলে দাবি করেছেন। তবে হেফাজত নেতা শাহ আহমদ শফী পরিচালিত ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ওই নামে তাদের কোনো শিক্ষার্থী নেই।
মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই হামলাকারীকে ধরতে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।