দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই উৎক্ষেপণে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে উত্তর কোরিয়ার কাছে ১২ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে এটা পরিষ্কার নয় যে এই ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইল বহনে ব্যবহার করা যাবে কী না।
উত্তর কোরিয়ার এই উদ্যোগ প্রতিপক্ষ দেশগুলোর কাছে সমালোচিত হয়েছে। দেশটির উপর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা বহন করে নিয়ে যেতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া বলে ধারণা করা হয়।
এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রবিবার রকেটের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এবং দেশটির উপর আরো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার উপর আরো বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যা দেশটিকে বিশ্ব থেকে আরো বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তাদের স্পেস প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনকি উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীন পর্যন্ত বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত। বিবিসি।