এডভোকেট রনজিত দাশ জানান, ডাকযোগে পাঠানো চিঠিতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তার হস্তগত হয়। চিঠিটি হাতের লেখা। চিঠিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্য করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো ‘ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি কক্সবাজার। আই.এস জঙ্গি সংগটন। আগামী ৩০ শে জুলাইয়ের মধ্যে কক্সবাজারের সর্বপ্রথম মন্দিরে হামলা চালাবো। বাক্ষ্ম মন্দিরে, এরপর কালিবাড়ি, ইসকন মন্দির, কৃষনন্দ ধাম, শংকর মঠ বড় ধরণের হামলা চালাব, রামকৃষ সেবাশ্রম। আমরা যতদিন না পর্যন্ত হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে না ততদিন পর্যন্ত এ জিহাদ চলবে।
আমরা জঙ্গি আমরা ইসলাম চাই কক্সবাজারের সমস্ত মন্দিরের পুরোহিত সভাপতি সেক্রেটারি এদের আমরা আলাহ আকবরের নামে খুঁজে খুঁজে বের করে খুন করবো, আমরা আই.এস জঙ্গি পারিসত ভারতে পালিয়ে যা। আর না পারলে তোদের গলা কেটে হত্যা করব। যত বড় প্রশাসন আসুক না কেন হত্যা অবশ্যই করব। তারপরে মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে বহুবার চেষ্টা করেছি পারিনি এইবার আর রেহাই নেই। আলাহ আকবর, আই.এস।’
এডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, ‘চিঠিটি পাওয়ার পর আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়ি। সাথে সাথে নিরাপত্তা চেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের অভয় দেয়া হয়েছে এবং সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির সাধারণ ডায়রি রুজু করেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা আলাদা দেখছি। একই সাথে মন্দিরের নিরাপত্তা বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ব্রাহ্ম মন্দির প্রাঙ্গনে জরুরী সভা ডেকেছে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ। উক্ত সভায় শহরের সকল মঠ-মন্দিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে যথাসময়ে জরুরী ভাবে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।