সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিসাখালি গ্রামের সাফায়েত শেখের বাগানবাড়িতে নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই চার জেএমবি সদস্যকে একটি রিভলবার, দুটি গুলি ও পাঁচ হাত বোমাসহ গ্রেপ্তার করে। হামবোমাগুলো পানিতে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন আজিজ, মতিন ও আজাদ। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে একটি রিভলবার, দুটি গুলি, পাঁচটি হাতবোমা, পাঁচটি মোবাইলসেট ও একটি ডেস্কটপ।
আটককৃতরা হলো, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কাকারবিল গ্রামের বেদার উদ্দিন মোল্লার ছেলে আকাশ (১৯) ওরফে বাবু, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রগুনাথপুর গ্রামের লোকমান ফরাজীর ছেলে কবীরুল (২৬), পিরোজপুরের মাছিমপুরের আব্দুল হাই সেখের ছেলে মো. হাবিবুল্লা (১৯), একই জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামের সাহাজাহান হাওলাদারের ছেলেও মিজানুর রহমান (২৮)।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে স্থানীয় কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিসাখালি গ্রামের জনৈক সাফায়েত শেখের বাগানবাড়িতে ১২/১৩ জনের নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি দলের সদস্যরা নাশকতার পরিকল্পনার বৈঠক করছে এই গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কচুয়া থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামবোমা ছোড়ে।
এসময় পুলিশও সাত আট রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা পিছু হটলে পুলিশ সদস্যরা তল্লাসি চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে একটি রিভলবার, দুটি গুলি ও পাঁচটি হাতবোমাসহ গ্রেপ্তার করে। বাকিরা পালিয়ে গেছে। জেএমবি সদস্যদের ছোড়া হাতবোমার আঘাতে অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।