কচুয়ায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি সদস্য আটক


মফিজুল ইসলাম বাবুল, চাঁদপুর: কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী-তুলপাই গ্রামের ৮ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা শিশুর হতদরিদ্র পিতা আব্দুল মালেক জানান- ঘটনার সময় তিনি ও তার স্ত্রী বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মাঠে কাজ করছিলেন। এসময় অজ্ঞাত যুবক তার ৮ বছরের শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে বাড়ির অদূরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বহু কষ্টে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করতে থাকে। ধর্ষিতার পিতা মাতা মাঠ থেকে বাড়িতে এসে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মাইনুল কুদ্দুস তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু দরিদ্র পিতা আব্দুল মালেক অর্থাভাবে ধর্ষিত শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে চাঁদপুর হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নেন। খবর পেয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ধর্ষনের শিকার শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিকে দারাশাহী-তুলপাই এলাকার (ওয়ার্ড নং-৩) ইউপি মেম্বার তাজুল ইসলামের যোগসাজসে এ ধর্ষণ ঘটনা ঘটতে পারে সন্ধেহে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যালগ্নে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার দারাশাহী-তুলপাই এসে ঘটনা তদন্ত করেন। শিশুটির পাশে না দাড়ানো ও ধর্ষককে খুজে বের করতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা দায়সার ভূমিকা পালন করায় তিনি তাদের প্রতি অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি তড়িৎ গতিতে ধর্ষণ ঘটনায় জড়িতদের খুজে বের করতে কচুয়া থানার পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য যে, ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রায় ১০ বছর বয়সী বড় বোন প্রায় এক বছর পূর্বে অনুরূপ ভাবে ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ মামলার আসামী ধর্ষক দারাশাহী-তুলপাইয়ের সুমনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।

Comments (0)
Add Comment