মোঃ রায়হান (ক্রাইম রিপোর্টার)
রাজধানীর পল্লবীর কসাই খলিল (৬০) ও তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ সংস্থা (বেসওয়া) সংস্থার উপরে হামলা ও ব্যানার ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিযুক্ত মোতাওয়াল্লী নবাব ড. খাজা ইকবাল আহসানউল্লাহ বিগত ২৫/০২/২৪ ইং মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন দাখিল করেন। যাহার নং ২২৩০/২০২৪, উক্ত রিট পিটিশনকে বিচারকদ্বয় গত ৬/০৩/২০২৪ ইং নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পূর্বের রেকর্ড বাতিল পূর্বক পুনঃ সংশোধনের আদেশ প্রদান করেন এবং বিগত ৩১/০৩/২০২৪ ইং তারিখে উক্ত সম্পত্তিতে বর্তমান মোতাওয়াল্লী ব্যতীত সকলের প্রতি স্থিতিশীল ও নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির উপর মহামান্য হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞার সাইন বোর্ড দেওয়া হয়। উক্ত সাইন বোর্ড স্থাপন করতে গেলে গত ০৬/০৭/২০২৪ ইং তারিখ সময় ৪.৩০ ঘটিকায় খলিলুর রহমান (একাধিক মামলার আসামি) ও এনামুল গং সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন সাইন বোর্ড ভাঙচুর করে। তখন স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে,স্থানীয় লোকজনদের গায়ে হাত, লাথি, ঘুসি ও ছোড়া দিয়ে আঘাত করেন। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হন, বাংলাদেশ প্রাক্তন কল্যাণ সংস্থা (বেসওয়া) এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান,সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জব্বার ,সার্জেন্ট বাতেন, শফিকুর রহমান,ইমামুল হক,রওশন ,রজব আলী,আখতারুজ্জাম সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম মাস্টার,ওয়ারেন্ট অফিসার এনায়েত,ওয়ারেন্ট অফিসার মজনু,সিদ্দিক,সার্জেন্ট রিয়াজসহ আরো অনেকেই। শুধু তাই নয় খলিল ও তার বাহিনী নিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেন।এই ব্যপারে পল্লবী থানায় সাধারন ডাইরী করা হয়।
জানা যায়, খলিল এক সময় গরুর গোশতের ব্যবসা করতেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তিনি এখন পল্লবীবাসীর কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। চাঁদাবাজি, অন্যের জমি দখল, হত্যার উদ্দেশে মারপিট, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া কসাই খলিল নিজেকে বড় নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। পল্লবী থানা যুবলীগের কমিটিতে আছেন বলে দাবি করেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার ভয়ে তটস্থ পল্লবীবাসী।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খলিল থাকেন পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় ১১ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের ৬ নম্বর বাসায়। তার বাবার নাম মজিবর রহমান। তার মা এক সময় অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতেন। এলাকাবাসী জানিয়েছে, এমন কোনো কাজ নেই যা খলিল ও তার বাহিনীর সদস্যরা করেন না। পল্লবী এলাকায় কেউ নতুন জমি কিনলে, জমিতে মাটি ভরাট করার প্রস্তুতি নিলে, ভবন নির্মাণ বা উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করলে তার বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে হাজির হন। মোটা অংকের চাঁদা না দিলে কোনোভাবে কাজ করতে দেন না।