পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জোলাগাতী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাউখালী-ভান্ডারিয়া উপজেলার সংযোগ খাল জোলাগাতীতে দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতবছরেও কোন সংযোগ ব্রিজ নির্মিত হয়নি। ব্রিটিশ আমল থেকে এই সীমানার খাল হিসেবে চিহ্নিত ঐতিহ্যবাহী শতবছরের জোলাগাতী খালের দুই পাড়ের মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। জানা যায়, ব্রিটিশ আমল থেকেই কে ব্রিজ নির্মাণ করবে কোন উপজেলা থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে এই সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় খালের দুই উপজেলার দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ এই ডিজিটাল যুগে এসেও ভোগান্তি শতশত বছর ধরে পোহাচ্ছে। ব্যক্তি উদ্যোগে জোলাগাতী খালের শুরু হইতে মোল্লারহাট পর্যন্ত দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোন ব্রিজ না থাকায় এলাকাবাসীর স্ব উদ্যোগে বাঁশ, সুপারি গাছ দিয়ে কয়েকটি সাঁকো নির্মাণ করে তা থেকেই স্কুল কলেজ, হাট বাজারগামী হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে। জোলাগাতী গ্রামের আ: বারেক মাষ্টার জানান, যে, জোলাগাতী খালের দুই পাড়ের সন্নিকটেই অনেকগুলো নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার রয়েছে। যেখানে এই এলাকার এই খালের দুই পাড়ের শত শত ছাত্র-ছত্রী জনসাধারণ প্রতিনিয়িত এই খাল পারপার হতে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে হাজারও ধরণা দিয়ে দুই উপজেলার প্রশাসনের রশি টানাটানির ফলে এ পর্যন্তু ডিজিটাল যুগেও এসেও কোন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। জোলাগাতী খালের ভান্ডারিয়া পাড়ে কাপালির হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নুরজাহান মেমোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উত্তর ভিটাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আজাহারিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও কাপালির হাট বাজার অবস্থিত। কাউখালী এলাকায় উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জোলাগাতী ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জোলাগাতী নিম্ন মাধ্যমিক আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাট বাজার। জোলাগাতী খালটি ভান্ডারিয়া উপজেলার সদর থেকে বারো কিলোমিটার উত্তরে এবং কাউখালী উপজেলা সদর থেকে সতেরো কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় এই এলাকার উভয় পাড়ের লোকজনকে দুই উপজেলাসহ জেলার সাথে যোগাযোগ করতে হলেই এই খালে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে হয়। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বাঁশের সাঁকো পারাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জোলাগাতী খালের ভান্ডারিয়া পাড়ের খালের তীরবর্তী রাস্তার কিছু অংশ ভাল থাকলেও কাউখালী অংশের ১০/১২ কিলোমিটার খালের তীরবর্তী রাস্তা মাটির সাথে মিশিয়ে যাওয়ায় জোয়ারে ডুবে যায় আর ভাটায় জেগে ওঠে। ফলে অত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষ যুগ যুগ ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিবছর এই এলাকায় থাকা ৮টি বাঁশের সাঁকো মেরামতের জন্য বাঁশ, সুপারি গাছ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সাঁকো নির্মাণ করে হচ্ছে।ঝুকিপূর্ন সাকোঁ গুলোর মধ্যে রয়েছে সরদার হাট,আবুলবাশারমেম্বার,ফজলু সিকদার. ও বেলায়েতের মাদ্রাসার সামনে স্পট গুলোর বাশের সাকোঁ দিয়ে যুগ যুগ ধরে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ যাতায়াত করে।এছাড়া ও এই এলাকার সরদার হাট হতে বেকুটিয়া ফেরিঘাট পযর্ন্থ সক্ষিপ্ত সংযোক সড়কটি কয়েক যুগেও মাটির কাজ না হওয়ায় সড়কটি নিশ্চিহ্নের পথে। ডিজিটাল যুগেও এ এলাকার মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এ ব্যপারে উজজেলা চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির জানান উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিডিপত্র/আমিরুল