জসিম উদ্দিন জানান, আমার ছেলে রুবেল বাবু কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতিন এর ভাতিজী মিশু আখতারকে প্রেম করে বিয়ে করে। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করি এবং অন্যান্যরা মেনে নিলেও মতিন মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সে সব সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে মতিন পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এই হামলা ও লুটপাট করে।
জসিম উদ্দিনের পুত্রবধু ও মতিনের ভাতিজী মিশু আখতার দাবী করেন, আমার চাচা বিয়ের কারনে এই হামলা ও লুটপাট করেছে। আমার চাচা ওতার দলবলের ভয়ে স্বামীর পরিবারের সকলে আতংকে আছি। সেই সাথে তিনি প্রভাবশালী চাচার রোষাণল থেকে স্বামীর পরিবারকে রক্ষার আকুতি জানান।
হায়দার আলী জানান, আক্রশবসতঃ পরিকল্পনা মাফিক মতিন লোকজনদের উস্কিয়ে আমার বাড়ীসহ পাশর্^বর্তী ৩টি বাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়। তারা আমাকে এলাকা ছাড়তে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ে দিনপাত করছি। তিনি পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবী করেন।
অপরদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মতিয়ার রহমান মতিন বলেন, ঘটনার দিন জনৈক হাযদার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ আমার বাড়ীতে আমাকে অতর্কিত হামলা করলে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এসময় তারা জসিম উদ্দিনের বাড়ীতে আশ্রয় নিলে উত্তেজিত লোকজন তাদের খোজা খুজি করে। সেখানে কোন হামলা বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
এব্যপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশীদ নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। যাহার কাউনিয়া থানা মামলা নং- ২৬/১৭, তারিখ- ২৯/১২/১৭ইং। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এঘটনায় স্থানীয় অনেকে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। নাহলে আরো বড় অঘটন হওয়ার আশংকার কথা ব্যক্ত করেন।