মিজান,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় বিষমুক্ত নজর কাড়া বিটি বেগুন চাষে কৃষক অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছেন। কম খরচে অধিক ফসল ও লাভ বেশী হওয়ায় উপজেলার অনেক চাষি এখন বিটি বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার হারাগাছের নাজিরদহ কুটিরঘাট গ্রামে কৃষক এন্তাজুলের বেগুন ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে অবাক করা এমন সাফল্য। তার ক্ষেতে এক একটি বেগুন ১ কেজি পর্যন্ত ওজনের হয়েছে।
এন্তাজুল হক জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের প্রদর্শনী হিসেবে তাকে ৩৩ শতক জমিতে বিটি বেগুন-২ ও বিটি বেগুন-৪ জাতের চারা, সার সহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা সার্বক্ষণিক তদারকি ও পরামর্শ বেগুন চাষে সফলতা অর্জনে প্রচন্ড ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি জানান, বিটি ২ ও ৪ জাতের বেগুন ক্ষেতে লাগানোর উপযুক্ত সময় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। বিঘা প্রতি জমিতে আড়াই হাজার চারার চাষাবাদ ব্যয় বাবদ গড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি শতকে পুরা মৌসুমে ১’শ ৬০ কেজি থেকে ২’শ কেজি বেগুন উৎপাদিত হবে বলে আশা করেন। সে অনুপাতে ৪ মাসে বেগুন বিক্রির লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতি মন বিটি বেগুন বাজারে ৬’শ থেকে সাড়ে ৬’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিটি-২ ও বিটি-৪ জাতের বেগুন ক্ষেতে কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। এ জাতের বেগুনে ফল ও ডাল ছিদ্রকারী পোকা বেগুন নষ্ট করতে পারে না। তাই এই বেগুন চাষে অনেক কৃষক দিন দিন আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, নতুন জাতের এ বিটি বেগুন প্রথমে কেউ চাষ করতে চায়নি। বর্তমানে ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা বেগুন চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠছে। এ বেগুন খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন এতে পোকা-মাকড়ের প্রায় আক্রমন দেখা যায় না। ফলে বিটি বেগুন চাষ বেশ লাভজনক।