মিজান,কাউনিয়া(রংপুর):
রংপুরের কাউনিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় পলাতক পাষন্ড স্বামী নাদের হোসেন নেন্দুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধাঁ দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নাদের হোসেন নেন্দু। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৩ মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা জানান, গত ২৩ এপ্রিল মধ্যরাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ি এলাকায় একটি মুরগি খামার থেকে নাদের হোসেন নেন্দুকে গ্রেফতার করেন র্যাব-১৩। তাঁর বিরুদ্ধে প্রেমিকার সহায়তায় নিজ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানাধীন হারাগাছ চর চতুরা (চারমাথা) এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে অভিযুক্ত নাদের হোসেন নেন্দু (৩৫) এর সঙ্গে কাউনিয়ার নাজিরদহ কুটিরঘাট গ্রামের ওয়াহেদ আলীর মেয়ে রিক্তা বেগম (১৯) এর দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। নাদের তাঁর প্রেমিকাকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলার সম্মতি প্রদানের জন্য প্রথম স্ত্রী গোলাপী খাতুন (২৬) কে চাপ দেয়।
গোলাপী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি না দেয়ায় প্রেমিকার পরামর্শে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নাদের। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ এপ্রিল নাদের তাঁর প্রেমিকা রিক্তা বেগমের সহায়তায় স্ত্রী গোলাপী খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হারাগাছ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের দিন হারাগাছ থানা পুলিশ প্রেমিকা রিক্তা বেগমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও নাদের হোসেন কৌশলে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে গাঢাকা দিয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, র্যাব গুরুত্ব সহকারে এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং পলাতক প্রধান আসামি নাদের হোসেন নেন্দুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। অবশেষে র্যাব-১৩ রংপুরের একটি বিশেষ আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে বগুড়ার সাড়িয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ি এলাকায় একটি মুরগি খামার হতে নাদের হোসেন নেন্দুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।