গতকাল রাত ১২টার দিকে আমার স্ত্রীকে তার এক প্রতিবেশী বোন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফোন দিয়েছে। জানতে চাচ্ছে আমরা গোল মরিচ, আদা, কালোজিরা কিনেছি কি না, আর ঢাকাতেও সবাই আজান দিচ্ছে কি না? আমার স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করল- ঘটনা কী? কেন এগুলো খেতে হবে আর এত রাতে আজান কেন দিতে হবে? তখন সে বলল- রংপুরে একটা ছাগলের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে বলেছে যে, সবাই করোনা ভাইরাসে মারা যাবে, যদি করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হয় তাহলে সবাইকে আজান দিতে হবে, দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে এবং আদা, কালোজিরা আর গোল মরিচ খেতে হবে। এ ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজন ব্যক্তির একটা সন্তান জন্মগ্রহণ করেও একই কথা বলেছে, কিছুক্ষণ পর সন্তানটি মারা গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হলো- সেখান থেকে জানলাম এই কথা সারা দেশে অনেকগুলো জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে ঢুকে বেশ কিছু এলাকার আজানের দৃশ্যও দেখলাম।
.
সচেতনতা ছড়ানোর জন্য কত চেষ্টাই না করা হচ্ছে, কত অর্থ খরচ করা হচ্ছে কিন্তু সচেতনতা নামক ভারী বস্তু যেন ঠেলে নড়ানোই যায় না কিন্তু গুজব নামক শুকনো, হালকা, খড়খড়ে বস্তুটি যেন বাতাসের আগে আগে চলে। কারা জাতিকে এমন গুজবপ্রবণ করল?
লেখক:
রাকিব আল হাসান, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক।