কালীবাড়ীতে হরিনাম সংকীর্তন ও মহোৎসব পরিদর্শন করলেন ডিসি-এসপি

মো. এখলাছ উদ্দিন (রিয়াদ)

কলি যুগে জীবের দুঃখ মোচন ও শান্তি অর্জনের একমাত্র উপায় শ্রী শ্রী হরিনাম সংকীর্তন। ইহাই সনাতন ধর্মের সার সিদ্ধান্ত। মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শ্রী শ্রী কালীবাড়ীতে ৪০ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকবহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও মহোৎসব পরিদর্শন করলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস. এম. আলম, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সদর সার্কেল মো. সায়েম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেটের কর্মকর্তা (এনডিসি) মো. সোহাগ হোসেন, কিশোরগঞ্জ শ্রী শ্রী কালীবাড়ীর সভাপতি শ্রী পরিতোষ কুমার চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি সমরেন্দ্র চন্দ্র চন্দ, সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন নন্দী, সদস্য স্বপন বসাক, মাখন চন্দ্র দেবনাথ, রানা চক্রবর্তী, হৃদয়ে কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. এখলাছ উদ্দিন রিয়াদসহ কালীবাড়ীর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এলাকার গন্যমাণ্য বৃক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

‘সেই তো তুমি ব্রজের কানাই, কলিতে গৌর হরি, তোমার নামে মুখরিত আজি, কিশোরগঞ্জ নগরী এই স্লোগানে ৫ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ শেষ দিন। এতে দেশের ভিবিন্ন যায়গা থেকে ৬ টি দল অংশ গ্রহন করেছেন। তারা হলো যথাক্রমে- যশোহর জেলা থেকে গোসাই সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে প্রভু প্রেম কিশোর সম্প্রদায়, খুলনা জেলা থেকে হরিভজন সম্প্রদায়, নেত্রকোনা জেলা থেকে যুগল কিশোর সম্প্রদায়, পাংশা থেকে শিব মন্দির সম্প্রদায় ও বাগেরহাট জেলা থেকে নন্দ গোপাল সম্প্রদায় অংশ গ্রহন করেছেন। তারা রাত-দিন ২৪ ঘন্টা বাঁশির সূর, ঢোল এবং মন্দিরার বাজনা ও মুখের সূর দিয়ে প্রতিদিনই হাজার লোককে আনন্দ উল্লাশ দিয়ে যাচ্ছে শ্রী শ্রী কালীবাড়ীতে । ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শুরু হওয়া শ্রী শ্রী তারকবহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও মহোৎসব আজ (৯ ফেব্রুয়ারী) সোমবার সকালে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কালীবাড়ীর কর্মকর্তরা।

Comments (0)
Add Comment