বৃহৎ পেট্রোল কার হিসেবে এলপিসি দুটি ৭৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় নির্মিত হবে এবং তা ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেএসওয়াই-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান তারেক বলেন, সর্বোচ্চ ২৫ নট গতি ও ৬৭৪ টন পূর্ণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই এলপিসি ০১ঢ৭৬.২ এমএম সিঙ্গেল ব্যারেল গান, ০১ঢ৩০ এমএম সিঙ্গেল ব্যারেল গান, ০২ঢ ট্রিপল টিউবার ট্রাকিং রাডার, দিন ও রাত নির্ণয়ের একটি যন্ত্র এবং একটি হল মাউন্টেড সোনার সজ্জিত থাকবে।
তিনি বলেন, এই এলপিসি’র শত্রু সাবমেরিন ডিটেক্ট, আইডেন্টিটিফাই, ট্র্যাক, এনগেজ ও আক্রমণের সক্ষমতা থাকবে। এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে এর কোস্টাল পেট্রোল ও কনস্টেবুলারী ডিউটির সক্ষমতা থাকবে। এ ছাড়া ৬৪.২ মিটার দীর্ঘ এই এলপিসি ৭০ জন ক্রুসহ ১০ দিন সাগরে থাকতে পারবে। গত বছরের ৩০ জুন এলপিসি দুটি নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চায়না ওয়্যারশিপ বিশেষজ্ঞরা এই নির্মাণ কাজে কারিগরি সহায়তা দেবে। এর ডিজাইন চূড়ান্ত হয়েছে এবং ইঞ্জিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী চীন থেকে আমদানি করা হবে। নির্মাণ কাজে কমপক্ষে ২৫০ জন শ্রমিক ও প্রকৌশলী অংশ নেবে।
খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এস ইরশাদ আহমেদ বাসসকে বলেন, দেশে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যুদ্ধজাহাজের তুলনায় অনেক সক্ষমতাসম্পন্ন হবে। কেএসওয়াই’র এলপিসিতে বড় করভেট্টিজ-এর অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। এটি শত্রু সাবমেরিন চিহ্নিত ও তাদের ওপর আক্রমণে সক্ষম হবে। এর আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ২০১৩ সালে কেএসওয়াইতে এক অনুষ্ঠানে দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি ৫টি পেট্রোল ক্র্যাপস্টের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৫ মার্চ এই ৫টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর