পানি কমতে থাকার সুযোগ নিয়ে কাশ্মিরের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ৭৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরক্ষা বাহিনী।
৬০ বছরের মধ্যে নজিরবিহীন এ বন্যায় বুধবার পর্যন্ত ২১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানি কমে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে মৃতের মোট সংখ্যা জানা যাবে এবং তা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি কমতে থাকায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বুধবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং দুর্গতদের উদ্ধারাভিযানের বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
শ্রীনগর থেকে উদ্ধারপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, তারা আশপাশ থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার শুনেছেন, কিন্তু এক সময় চিৎকার থেমে গেছে।
এতে আটকা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওইসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে বা তারা হতাশ হয়ে উদ্ধার পাবার আশা ছেড়ে দিয়ে ভাগ্যের হাতে নিজেদের ছেড়ে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন্যায় প্রায় সবকিছু হারিয়েছেন এমন পরিবারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। দুর্গতদের কাছে পৌঁছতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেক কাশ্মিরিই মনে করছে।
শ্রীনগরের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পুরো নগরীজুড়ে জ্বালানি তেলের অভাব দেখা দিয়েছে। নগরীর সবগুলো পেট্রল পাম্প জ্বালানি শূন্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।