এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার পর বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চে রায় পড়া শুরু করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী। পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ফাঁসির আসামি কিশোরগঞ্জের আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদই কেবল রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজউদ্দিন পলাতক। এদের মধ্যে আজহারুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত; বাকিদের হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল এই মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিষয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করে রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষ। এরপরে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে বলে সিএভি (অপেক্ষামান) ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৫ সালের ১৩ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।