কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধি: কিস্তির টাকা না পাওয়ায় ঋণ গৃহীতার বাড়ী ঘেরাও করে রেখেছিলো গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ও মাঠকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার গফুরটারী মধ্যপাড়া গ্রামে। এঘটনার পর ওই ঋণ গৃহীতা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। জানাগেছে, গফুরটারী মধ্যপাড়া গ্রামের নাজমুল মিয়ার স্ত্রী রুবিনা বেগম ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক হারাগাছ শাখা অফিস থেকে জুন মাসে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এরপর থেকে নিয়মিত ৫০০ টাকা সপ্তাহে কিস্তি দিয়ে আসছিলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৭ অক্টোবর কিস্তি দেবার কথা ছিলো। কিন্তু পরিবারে অভাবের কারণে দুই সপ্তাহের কিস্তি টাকা দিতে পারে নাই। কিস্তির টাকা না পেয়ে ওই গৃহীতার বাড়ী ঘেরাও করে কিস্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করে ব্যাংকের লোকেরা। নাজমুল হোসেন বলেন, রবিবার রাত ৮ টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার তুহিন ও মাঠকর্মীরা তার বাড়ী ঘেরাও করে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে কিস্তির টাকা দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল এবং ম্যানেজার তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কিস্তির টাকা না দিলে মামলায় জড়াবে বলে হুমকীও দেয়। গত ৭ অক্টোবর মাঠকর্মীরা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একই আচারন করায় সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। ওই গ্রামের কয়েকজন মহিলা বলেন, রাতের বেলায় রাস্তায় হঠাৎ অনেক মানুষের চিল্লাহাল্লার আওয়াজ শুনে বের হয়ে দেখলাম নাজমুলের বাড়ীর দরজায় সামনে গ্রামীন ব্যাংকের লোকেরা দাড়িয়ে কিস্তির টাকা জন্য গালীগালাজ করছে। এসময় রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ছিলো। এদিকে গ্রামীণ ব্যাংক হারাগাছ শাখার ম্যানেজার তুহিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। অপরদিকে গ্রামীণ ব্যাংক রংপুর সদর হারাগাছ এরিয়া ম্যানেজার লুৎফর রহমান বলেন, ঋণ গৃহীতার বাড়ী ঘেরাও বা অবরুদ্ধ নয়, সাপ্তাহিক বকেয়া কিস্তির টাকা উত্তোলনের জন্য ওই ঋণ গৃহীতাকে চাপ প্রয়োগ করতে গিয়েছিলো ওই শাখার ম্যানেজার ও কর্মীরা।