কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ওয়াজ মাহফিলে বক্তা ড. এনায়েত উল্যাহ আব্বাসীর উস্কানিতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ মে সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ওমরগঞ্জ পাটোয়ার এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ির মালিক কাজী মেহেদী হাসান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের নাঙ্গলকোট থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক প্রচারণার কারণে একটি ধর্মান্ধ কুচক্রীমহল বিভিন্ন সময় প্রচার কাজে বাধা দেওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার হেসাখাল বাজারে একটি ওয়াজ মাহফিলে হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে হত্যা করার উস্কানি দিয়ে বক্তব্য রাখেন তথাকথিত ইসলামী বক্তা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী। ওই ওয়াজ মাহফিলের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে স্থানীয় কুচক্রি মহলটি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ মে সকাল ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বাড়িতে আগুন দেয়। আব্বাসীর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি কাজী মেহেদী হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করাকে ঈমানী দায়িত্ব মনে করছেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় কাজী মেহেদী হাসানের ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ সহ বসতঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র আগুনে বিনষ্ট হয়ে মোট তিন লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মেহেদী হাসান জানান, গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার হেসাখাল বাজারে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী মাহফিলে আগত লোকজনকে উদ্দেশ্য করে হেযবুত তওহীদকে কুফরি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয় এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়ে নানারকম অপপ্রচার চালায়। তার এই প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে এলাকার ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি আশঙ্কা করছি গুজবের শিকার হয়ে আমাকে হত্যা করাটা বা আমার ক্ষতি করাটা তারা ঈমানী দায়িত্ব মনে করছে। এ ঘটনায় ব্যাপক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।