মঙ্গলবার দুপুর পৌণে একটায় কুমিল্লা মহানগরীর ঠাকুরপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশের সন্ধান মিলেছে। সকাল থেকে ওই স্থানটি ঘিরে রেখেছে র্যাব, ডিবি, থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। টিটু জেলার দেবিদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া এলাকার আবু তাহের মাস্টারের ছেলে।
জেলা ডিবির এসআই মো. শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, তারিকুল ইসলাম টিটু ২০১৫ সালের ২ জুলাই নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার শোভা ওই বছরের ১৩ জুলাই জেলার দেবিদ্বার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু টিটুর সন্ধান না পেয়ে চলতি বছরের ৮ মার্চ টিটুর মা রাজিয়া সুলতানা আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা ডিবি পুলিশ। রবিবার রাতে সন্দেহভাজন আসামি নগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সফিকুল ইসলাম লিমনকে গ্রেফতারের পর টিটু হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল জানায়, তিনি ও তার সহযোগী হৃদয়সহ আরো কয়েকজন ওই বছরের ২ জুলাই গভীর রাতে নগরীর ঠাকুরপাড়া শ্মশানঘাটে টিটুকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর লাশটি একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে মাটি চাপা দেয়া হয়। এর কয়েক দিন পর পাশের একটি সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেফতার অপর আসামি হৃদয়কে নিয়ে পুলিশ ঠাকুরপাড়া বড় মসজিদের পাশের ওই পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি চালায়। দুপুর একটার দিকে ট্যাংকে যুবলীগ নেতা টিটুর পরনের একটি গেঞ্জি, মাথার খুলি ও দেহের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যায়।
এ সময় কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ও আদর্শ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামিরুল ইসলাম ও কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রব উপস্থিত ছিলেন।