এতে করে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ারসহ ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষজন। ঈদুল ফিতরের আগে ইউনিয়নের অভাবী মানুষজন ভিজিএফ’র সহায়তার আশায় বসে থাকলেও তা না পেয়ে অতিকষ্টে ঈদ পার করেছেন। ফলে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ¤øান হয়ে গেছে ঐ ইউনিয়নের ৭ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের।
তারা দাবী করেন ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেয়া ভিজিএফ’র খাদ্য শস্য আত্মসাতের পায়তারা করছেন চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ। এজন্য ভিজিএফ বিতরন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি সাবেক নেতা আলতাফ হোসেন জানান, গত বছর ঈদেও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত বিলুপ্ত দাসিয়ার ছড়া ছিটমহলবাসীদের জন্য ১২শ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরন করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ঈদের আগে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এবার ঈদে ছিটমহলের জন্য ভিজিএফ’র কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পানিমাছকুটি গ্রামের মজিদুল হক, এরশাদ আলী ও রাহিলা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ডের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলাম, ইব্রাহীম আলী ও ২নং ওয়ার্ডের রিয়াজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের পাশের ইউনিয়নের সকল গরীব মানুষ ঈদের আগে গম পেলেও আমরা কিছুই পাই নাই। প্রতি বছর ভিজিএফ’র সহায়তা পেলেও এবারে ঈদের আগে আমাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভিজিএফ’র বরাদ্দ পেলেও মাল না পাওয়ায় তা বিতরন করা সম্ভব হয়নি। ফুলবাড়ী উপজেলার অন্য ইউনিয়নে বিতরন প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমার ইউনিয়নের জন্য ভিজিএফ’র মাল উত্তোলন করলে অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোর মানুষ ঈদের আগে ভিজিএফ’র মাল পেত না। এজন্য আমি মাল উত্তোলন ও বিতরন করিনি।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্র নাথ উড়াও জানান, সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ঈদের আগে ভিজিএফ’র গম উত্তোলন করলেও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গমের পরিবর্তে চাল দাবী করায় তা দেয়া সম্ভব হয়নি।