কুড়িগ্রাম আবাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষন মোঃ জাকির হোসেন জানান, বুধবার কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এ অবস্থায় শীত কাতর মানুষেরা খর-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬ টি নদ-নদীর অববাহিকায় ৪শতাধিক চরের মানুষ শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে। চর-দ্বীপচরসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় শীত বেশী অনুভুত হওয়ায় শীতকষ্টে দিনাতিপাত করছে এখানকার মানুষেরা। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে পড়েছে বিপাকে। এমতাবস্থায় কাজে বেড়াতে পারছে না শ্রমজীবি মানুষেরা। দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে হত দরিদ্র পরিবারগুলোর শিশু ও বৃদ্ধদের। খর-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভীড় করছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় শিশুদের নানা রোগব্যাধী নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর ভেলাকোপার সবুর উদ্দিন জানান, আমরা গরীব মানুষ কাজ করি খাই। কিন্তু খুব ঠান্ডা পড়ছে সাথে বাতাস কাজে যেতে পারছি না। গরম কাপড় নাই।
চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরের ময়না বেগম জানান, কাপড় কেনার কোন টাকা পয়সা নাই। নিজের কাপড় না থাকলেও ছেলে-মেয়েদের কাপড়তো কিনে দেয়া দরকার। কিন্তু হাতে কোন টাকা নাই। কাজকামও চলে না।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বৃদ্ধ মজিদ জানান, দিনে দিনে শীতের মাত্রা বাড়তেছে। আমরা বৃদ্ধ মানুষ এখনই বাইরে বের হতে পারছি না। আরোতো দিন আছে। কি হবে জানি না।
এব্যাপারে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, তালিকা করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় মানুষদেরকে শীত বস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে। আর শীত মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা নয়ো হয়েছে।
সীমান্তবর্তী ও নদ-নদী বেষ্টিত এজেলার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারনে এগিয়ে আসবে সরকারসহ বিত্তবানরা এমনটাই প্রত্যাশা শীত কাতর মানুষদের।