কোটা সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করলে মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোটা রেখে বাকি কোটা তুলে দেবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে মুখরিত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশ সহিংস হয়ে ওঠে। তাদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, রবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন সম্পর্কে আমরা অবহিত। বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি সম্পর্কে আমরা উৎকণ্ঠিত। বিনা উসকানিতে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি পুলিশের হামলায় আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। যারা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন আমরা তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি ‘ভিশন-২০৩০’-এ কোটার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলনে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষিত যুবসমাজের জীবন-জীবিকার প্রশ্নটি জড়িত। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটি উৎকণ্ঠিত।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।