খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, অতীতে যেমন জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য সেনাবাহিনীরা বঙ্গবন্ধুসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, বর্তমান সেনাবাহিনী সে ধরণের কোনো কাজ করবে না। কোনো অপশক্তিই সেনাবাহিনীর মধ্যে ফাটল ধরাতে পারবে না।
গত কাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিএনপি-জামায়াতের হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক। যারা অতীতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, এখনকার সেনাবাহিনী ওইরকম না। কোনো অবস্থাতেই তাদের মধ্যে ফাটল ধরবে না।” ২০ দলের সঙ্গে সংলাপের কথা নাকচ করে দিয়ে কামরুল বলেন, “পশুর সাথে সংলাপ হতে পারে না। কাদের সাথে সংলাপ, কিসের সংলাপ? যারা অপরাধ করে চলেছে এবং সেই অপরাধে যারা সহযোগিতা করে চলেছে তাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচর করা হবে।” সুশীল সমাজের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বর্তমান নাগরিক কমিটি হলো পরগাছা। এরা মাঠে নেমেছে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলার জন্য।”
একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদও বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়া যদি বিএনপি চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে বিএনপি তার জনপ্রিয়তা ফিরে পবে।বিএনপি চেয়ারপারসনের পদ থেকে খালেদা জিয়ার পদত্যাগের দাবিতে ‘আসল বিএনপির’ মুখপাত্র কামরুল ইসলাম নাসিম আগামী সোমবার সোয়া তিন ঘণ্টা হরতালের ডাক দেওয়ার পর একথা বললেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান।
তিনি বলেন, “বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে ঢাকায় ১০ জন লোকও জড়ো করতে পারেননি খালেদা জিয়া।” এ ‘ব্যর্থতার’ দায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপরসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রীর পদ থেকে খালেদা জিয়াকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিকদের’ পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি সংলাপে বসার যে আহ্বান জানানো হয়েছে তারও সমালোচনা করেছেন হাছান মাহমুদ। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “দয়া করে সংলাপের কথা বলবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা বলে তাদের সন্ত্রাসে উৎসাহ যোগাচ্ছেন। বরং বিএনপির এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। ২০১৯ সালের আগে মান্না সাহেবদের আশা পূরণ হবে না।”