আসন্ন কোরবানির ঈদে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৪৯৩টি স্থান নির্ধারণ করে সেসব স্থানে পশু জবাই করতে রাজধানীবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
”এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এসব স্থানে কোরবানি করতে কাউকে বাধ্য বা জোর করা হবে না।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেও ২০টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির বিষয়ে ঈদের তিন দিন আগে থেকে প্রচার চালানো হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ”এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাউন্সিলররাও কাজ করবেন।”
এছাড়া জুমার নামাজের খুতবার পর মুসল্লিদের যেন বিষয়টি জানানো হয়, সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কোরবানির জন্য সরকারের নির্ধারিত স্থানে ইমাম, কসাই এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা থাকবেন জানিয়ে রাজধানীবাসীকে ‘পরিচ্ছন্নভাবে’ কোরবানি করার অনুরোধ জানান আবদুল মালেক।
প্রতিবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের অলি-গলিসহ রাস্তার ধারে পশু জবাই করা হয়। সেই আবর্জনা সরাতে দেরি হলে মাসেরও বেশি সময় পর্যন্ত পশুবর্জ্যের দুর্গন্ধে ভারী হয়ে থাকে নগরীর বাতাস।
এ বছর রাজধানীতে কোরবানির স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা গত কয়েকদিন ধরেই বলা হচ্ছিল সরকারের তরফ থেকে।
গত বছর ১৮টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হলেও ঢাকায় এবার ১৬টি অস্থায়ী হাট বসবে জানিয়ে মালেক বলেন, ”রেললাইনের ওপর এবং জনগণের চলাচল বিঘ্নিত হয়- এমন জায়গায় পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। সামান্য কিছু রেভিনিউয়ের জন্য এটা করার প্রয়োজন নেই। হাসপাতালের কাছে ও হাতপাতালে যাতায়াতের পথে যেন পশুর হাট না বসে।”