কয়রা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার কয়রা থানার গুপিরায়ের বেড় গ্রামের হযরত আলী সরদারের স্ত্রী মোছাঃ রুমা খাতুন(২৮) বিজ্ঞসিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে তার স্বামীর নামে ২০১৬ সালে যৌতুকের আদায়ের অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। প্রশাসন তদন্ত করলে গ্রামবাসিরা জানায় পুরোটাই একটা মিথ্যা মামলা। কিছুদিন পর হযরত আলীকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এই বিবরণ ধরে এবার আবারও জেলার খুলনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ২০-০৪-২০১৮ সালে আতাউর রহমানের মেয়ে রুমা খাতুন তার স্বামী হযরত আলী সরদার, শ্বশুর লোকমান সরদার সহ ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয় রুমা খানের স্বামী হযরত আলী তিনি নাকি তার স্ত্রীকে বলেন তুমি তোমার বাপের বাড়ী থেকে ৫০,০০০/= পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে এসো আমি চা-পানের দোকান করব। এ ব্যপারে গ্রামবাসীরা জানায় যে এই অভিযোগ মিথ্যা হযরত আলীর স্ত্রীর সাথে অন্য কাহারো অবৈধ সম্পর্ক আছে। হযরত আলী যখন বাহিরে কাজে কর্মে যায় তখন সে তার সাথে দেখা করতে যায়। হযরত আলীর পিতা মাতা প্রতিবাদ করে যে বউমা তোমার দুইটা বাচ্চা আছে তুমি এসব কি করো? জবাবে বউ বলে, আমার খুশি আমি করি তাহাতে তোমাদের কি আসে যায়। এমনি ভাবে ঝগড়া ঝাটি হওয়াই হযরত আলীর স্ত্রী বাপের বাড়ী চলে যায় এবং খুলনা বিজ্ঞনারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ ব্যপারে গ্রামবাসী জানায় যে হযরত আলীর শশুর আতাউর রহমান তার মেয়েদের দিয়ে এ ধরণের ব্যবসা চালায়। তার ছোট মেয়ে সুমা খাতুনের এই একইভাবে এক লক্ষ্য টাকায় ২০১৬ সালে ইমদাদুল হকের কাছ থেকে ছাড়া ছাড়ি করে। সুমার সাবেক স্বামী ইমদাদুল হক বলেন, ওদের কাজই হচ্ছে একটা ছেলের সাথে বিবাহ করে ঝগড়া বিবাদ করে টাকা পয়সা নিয়ে স্বামীর সংসার হতে কেটে পড়া। এ ব্যাপারে ২ নং বাগালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় বলেন, রুমা খাতুন যে মামলা করেছে তার কোন প্রকার সত্যতা পাইনি এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও হয়রানি মুলক। এ ছাড়াও তিনি মিথ্যা মামলার জন্য মোছাঃ রুমা খাতুন কে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। গ্রামবাসীর দুইশত বেশির লোক স্বাক্ষী দিয়ে বলেন যে, হযরত আলী সরদার একজন সহজ, সরল ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল গ্রাম্য মানুষ। এ ব্যাপাওে মামলার আসামী হযরত আলী সরদার জানান আমার স্ত্রী রুমা খাতুন তার অবৈধ কুকর্মের কথা আমি জানতে পারাতে আমাদের নামে হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা করেছে।
j-thirteen