নূরুল হক চৌধুরী জানান, ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের ছেলে সৌরভ আজাদের নেতৃত্বে প্রায় ৫০০-৬০০ লোক হামলা চালিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার আগে তিনি ওই এলাকায় গণসংযোগ করে ফিরছিলেন নূরুল হুদা চৌধুরী। সন্ধ্যে থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় তার নির্বাচনী ক্যাম্প ও সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা তার সমর্থক সত্যেন্দ্র সরকারের ৫০০ হাঁস, দুলডনের একটি গরু নিয়ে গেছে এবং তার বাড়িতে হামলা করেছে। এ ছাড়া গ্রামের কালি মন্দিরেও হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দ্বিপক সরকার, দেবল সরকারসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬জন আহত হয়েছে। বিষয়টি খালিয়াজুরী ইউএনও, থানা পুলিশ ও সার্কেল এএসপিকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে জুয়েল চৌধুরীকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
খালিয়জুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জেুয়েল চৌধুরীর লোকজন তার নির্বাচনী মিছিলে হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে টেলা ধাক্কার ঘটনা ঘটে।
খালিয়াজুরী থানার ওসি রমিজুল হক জানান, নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভোর রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে।