সকাল ১০টায় কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ অবধি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে নিহত নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য সমাবেশ। শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুনে বাঁধা ব্যানার উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি ভাষা সৈনিক এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই। এ সময় স্বাগত বক্তৃতায় বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছানোর বিবরণ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
কর্মসূচিকে ঘিরে খুলনা মহানগরে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে বিএনপির খণ্ড খণ্ড মিছিল সমাবেশস্থলে এসে হাজির হয়। ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ দলীয় এই সঙ্গীতের সুরে সুরে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সকল সড়ক। ব্যানার, ফেস্টুন, ক্যাপ পরিহিত দলীয় কর্মীরা কর্মসূচিকে ঘিরে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
সমাবেশ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, অ্যাড. বজলুর রহমান, অ্যাড. এস আর ফারুক, রেহানা আক্তার, ফখরুল আলম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, অ্যাড. গোলাম মাওলা, মুজিবর রহমান, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।