এছাড়া সোমবার সকালে বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার পানির তোড়ে ফুলছড়ির কালিরবাজার সড়কের পশ্চিম ছালুয়া গ্রাম সংলগ্ন ব্রীজটি ভেঙ্গে গেছে। এ নিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের উড়িয়া-কালির বাজার, কাঠুর-কালিরবাজার, হাজিরহাট- উদাখালি এবং সিংড়িয়া-কালিরবাজার সড়কের ৫টি ব্রীজ ধসে গেছে। গাইবান্ধা-ফুলছড়ি সড়কে গোদার বাজারের রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলা সদরের সাথে গাইবান্ধাসহ গোটা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের সিংড়িয়ার রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে আলাই নদীর তালুককানুপুর ও সদর উপজেলার চুনিয়াকান্দির সোনাইল বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভাঙ্গা পানির তোড়ে সদর উপজেলার বোয়ালি, বাদিয়াখালি, সাঘাটার পদুমশহর, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ও উদাখালীর পানিবন্দী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বন্যা কবলিত ১৩ হাজার ৩শ’ পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়ে বিশুদ্ধ পানি, টয়লেট এবং গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া রান্না করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারি উদ্যোগে যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা চাহিদার চাইতে নিতান্তই অপ্রতুল। সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবায় কর্মরত রয়েছে।