গাজীপুরে ৮ মাস বয়সী এক শিশু সন্তানকে চুরি করার অভিযোগ উঠেছে একই বাসার ভাড়াটিয়া আইরিন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। চুরি হওয়ার প্রায় ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শিশু নোমানের কোনো হদিস মেলেনি। সন্তানের শোকে পাগল প্রায় বাবা-মা। সন্তানকে ফিরে পেতে প্রশাসনের ধারে ধারে হন্যে হয়ে ঘুরছে শিশু নোমানের অসহায় বাবা-মা। শিশু নোমান চুরির ঘটনায় গাজীপুরে ইতিমধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল আব্দুল্লাহ নোমান নাম ওই শিশুর চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন নাওজোড় এলাকায় বসবাসরত ভাড়াকৃত বাসা থেকে চুরি হয় শিশু আব্দুল্লাহ নোমান(৮ মাস)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুরির ঘটনায় প্রশাসনের একাধিক সংস্থা শিশু নোমানকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত নারী চোর আইরিনকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় থানা পুলিশ বলছে, শিশু নোমানকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত নারী চোরকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চুরি যাওয়া শিশু নোমানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু নোমানের বাবা পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকায় স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কর্মরত আছেন। কর্মের সুবাদে পরিবার নিয়ে শিশু নোমানের পিতা মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নং ওয়ার্ডের নাওজোড় এলাকার ফরিদ মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত নারী আইরিন তার স্বামীকে নিয়ে একই বাসার পাশের রুমে বসবাস করে আসছিলো। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে শিশু নোমানের মা তাকে গোসল করিয়ে রুমের খাটে রেখে কাপড় ধৌত করার জন্য গোসলখানায় যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে নোমানকে যথাস্থানে দেখতে না পেয়ে বাসার খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারে, আইরিন তার সন্তানকে চুরি করে পালিয়েছে।
এ ঘটনায় শিশু নোমানের পিতা মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল আইরিনকে অভিযুক্ত এবং আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আইরিনের স্বামী আবু সাইকে গ্রেফতার করে।
শিশু নোমান চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক নারী চোর মোসা. আইরিন(৩৪) কুড়িগ্রাম জেলার উদিরপুর থানার নতুন অনন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ওরফে খয়বর আলীর মেয়ে।
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, শিশু নোমান চুরির ঘটনায় থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।