গতকাল সরোজমীন ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভুইয়া এলাকার সাধারন মানুষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এবং তার নিজ ক্রয়কৃত জমিতে একটি ইট ভাটা তৈরী করে দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবসা করে আসছে। ইট ভাটাটির নাম রাখা হয়েছে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদ রফিক, শফিক ও বরকত নামে যার সংক্ষেপ নাম আর.এস.বি ইট ভাটা। সেই সুত্র ধরে তিনি নিজের তিন ছেলের নাম রাখেন ভাষা শহীদদের নাম অনুসারে। তাদের নামেই তৈরী করা হয় ওই ইট ভাটাটি। দেশ মাতৃকার টানে ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে ভারত থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বর্তমানে এলাকার অসৎ কিছু লোক ও গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগ সাজসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভুইয়াকে তার ক্রয়কৃত ও লীজকৃত জমি থেকে উচ্ছেদের যড়যন্ত্র করছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভুইয়া বলেন, আমি ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সে দিন নিজের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। আমি একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমার এলাকায় নিজ ক্রয়কৃত ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে লীজ নিয়ে একটি ইট ভাটা তৈরী করে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। এই ইটের ভাটাটি আমার জীবিকা নির্বাহের শেষ সম্বল সে টুকুও কেড়ে নেয়ার জন্য এলাকার কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক ও গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আমাকে উচ্ছেদের ব্যাপারে পায়তারা চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি এ জমি একোয়ার করে তাহলে আমি দিতে বাধ্য কিন্তু যদি আমাকে বিভিন্ন যড়যন্ত্রের মাধ্যমে উচ্ছেদ করতে চায় সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি এ ব্যাপারে আরো বলেন, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে আমাকে ৬৮/২০১৬ নং একটি উচ্ছেদ মামলার নোটিশ দেয়। উক্ত নোটিশের পুর্বেই উল্লেখিত জায়গার স্বত্বের ব্যাপারে আমি ও আমার লীজ দাতারা হাই কোর্ট বিভাগে ১২০৩৮/১৬ নং একটি রীট পিটিশন মামলা দাখিল করি। যাহা বর্তমানে চলমান রয়েছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বলতে চাই মামলাটি যেহেতু উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে মামলাটির কোন নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে যেন অবৈধ ভাবে উচ্ছেদ করা না হয়। সে জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, সড়ক ও সেতু মন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার নিজ ক্রয়কৃত ও লীজকৃত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের ব্যাপারে যড়যন্ত্রের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অভিজ্ঞ মহল।